পরিবেশ অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে যে, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী পর্যন্ত প্রায় ২০০ কিলোমিটার উপকূলজুড়ে সমুদ্রের পানিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। নদীর মোহনায় এই দূষণের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। এ অবস্থায় কর্ণফুলী, শঙ্খ, মাতামুহুরী, বাঁকখালী এবং রেজু খালের মোহনায় মাছের প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস হতে চলেছে। জেলেরা জানিয়েছেন, প্রজনন মৌসুমে এই ৫ নদীর মোহনায় ইলিশের বিচরণ আগে বেশি পরিলক্ষিত হলেও এখন আগের মতো এদের তেমন দেখা যায় না।
কক্সবাজারে মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, ডিম ছাড়ার সময় হলে নদ-নদীর মোহনায় যেখানে মিষ্টি পানির ধারা প্রবাহিত হয় সেখানে দল বেঁধে ইলিশ চলে আসে। কর্ণফুলী, শঙ্খ, মাতামুহুরী, বাঁকখালী এবং রেজু খালের মিষ্টি পানির মোহনা হচ্ছে মাছের প্রজনন ক্ষেত্র। তিনি জানান, এই ৫ নদীর মোহনায় এখন দূষণের মাত্রা অনেক বেশি। কল-কারখানার বর্জ্য ও ক্ষতিকর রাসায়নিক, নৌকা মেরামতের ডকইয়ার্ড থেকে ফেলা ময়লা-আবর্জনা ও জ্বালানি তেল এবং সমুদ্রগামী জাহাজ থেকে ফেলা ক্ষতিকর বর্জ্যের কারণে সমুদ্র উপকূলে দূষণ অব্যাহত রয়েছে। ফলে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন ক্ষেত্র ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
ড. শফিকুর রহমান বলেন, সমুদ্র উপকূলজুড়ে তেল জাতীয় দূষণের মাত্রা এখন সবচেয়ে বেশি। দূষণের ফলে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ক্ষেত্রগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রজনন ক্ষেত্র নষ্ট হওয়ায় বঙ্গোপসাগরে ৪৭৫ প্রজাতির মধ্যে বহু প্রজাতির মাছ এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এ বিষয়ে ব্যাপক জরিপ চালানোর প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সমুদ্র উপকূলজুড়ে তেলজাতীয় পদার্থের কারণে দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। এখানে প্রতি লিটার পানিতে ১০০ থেকে ১৩০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত তেল জাতীয় পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। কর্ণফুলী, সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর মোহনায় দূষণের মাত্রা আরও বেশি। সূত্র জানায়, উপকূলজুড়ে সারা বছর ধরে দূষণের মাত্রা বেশি থাকে। শীতকালে তা ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যায়। কর্মকর্তা আরও জানান, প্রতি লিটার পানিতে ২০ মিলিগ্রাম তেল জাতীয় পদার্থের উপস্থিতি থাকলে তা সহনীয় বলে গণ্য করা হয়। এর ওপরে গেলেই দূষণের পর্যায়ে বিবেচনা করা হয়।
দেশের প্রধান ইলিশ গবেষক এবং মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিচালিত নদী কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আনিছুর রহমান জানান, মাছ ধরার যান্ত্রিক নৌকা এবং মালবাহী জাহাজ থেকে নিক্ষিপ্ত বর্জ্যের কারণে সমুদ্রের দূষণ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। সাগরে ৩০ হাজারের বেশি মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। এদের মাধ্যমে দূষণ হচ্ছে উল্লেখ্যযোগ্য হারে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী জাহাজগুলো কর্ণফুলী থেকে কুতুবদিয়া উপকূল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত বর্জ্য নিক্ষেপ করছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন নদী মোহনায় রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় ডকইয়ার্ড। এখানে মাছ ধরার নৌকা ও ইঞ্জিন সার্ভিসিং করে সেসব বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সমুদ্রে। ফলে ক্রমাগত মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্রগুলো দূষিত হয়ে পড়ছে
- পেকুয়া উপজেলায় শাফায়েত আজিজ রাজু চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- লামা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা
- চকরিয়ায় ফজলুল করিম সাঈদি বিপুল ভোটে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনেও জিততে পারেননি এমপি জাফর আলম
- নাইক্ষ্যংছড়িতে তোফাইল চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- সাবেক সেনপ্রধান জেনারেল আজিজ ও তার পরিবারকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নতুন নিষেধাজ্ঞা
- চকরিয়াসহ আজ ২য় ধাপে কক্সবাজারের ৩ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ দুই হেভিওয়েট চেয়ারম্যান প্রার্থীর অস্তিত্বের লড়াই
- চকরিয়ায় বেপরোয়াগতির ডাম্পার ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক নিহত
- চকরিয়া-পেকুয়া ও ঈদগাঁওতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- চকরিয়ায় ডাম্পার ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে ইজিবাইক চালক নিহত
- চকরিয়ায় রাতে মৎস্য ঘেরে বিষ ঢেলে ৩৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
- চকরিয়ায় ডাম্পার ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে ইজিবাইক চালক নিহত
- চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদীর গাড়ী লক্ষ্য করে গুলি, প্রাণে রক্ষা
- চকরিয়ায় স্কুল হোস্টেলের পাশে চলছে ১৭ দিন ধরে অবৈধ মেলা
- জলাশয়ে বহুতল মার্কেট নির্মাণের পায়তারা
- নাইক্ষংছড়িতে দিনব্যাপী নির্বাচনীয় প্রশিক্ষণ শুরু
- কুতুবদিয়ায় এলপি গ্যাস বিক্রেতাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
- চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাঈদীর গাড়িতে গুলিবর্ষণের অভিযোগ
- জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে -ইউএনও রামু
- চকরিয়া-পেকুয়া ও ঈদগাঁওতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- রামুতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভেজাল বিরোধী অভিযান
পাঠকের মতামত: